ত্বকের যত্নে ‘ভিটামিন সি’
* প্রয়োজনীয় ও পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন সি ত্বকের দাগছোপ কমায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ফলে ত্বকের নির্জীবভাব ও মলিনতা দূর হয়।
* ভিটামিন সি কোষ সতেজ করে কোলেজেন বৃদ্ধি করে ফলে ত্বক দেখতে টান টান লাগে। ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি ব্যবহার তারুণ্য বাড়ায়, সতেজ রাখে ও টানটানভাব বজায় রাখে।
* উজ্জ্বলতার পাশাপাশি এটা ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সহায়তা করে।
* ত্বকের ৬৪ শতাংশ হল পানি। তাই ত্বক ভালো রাখতে এর আর্দ্রতা রক্ষা করা জরুরি। ভিটামিন সি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা ও সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
* অতিরিক্ত সূর্যালোকের কারণে ত্বকের প্রদাহ, লালচেভাব দেখা দিলে ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি যুক্ত সেরাম বা ক্রিম যোগ করা উপকারী। এটা লালচেভাব কমায় ও ত্বকের রংয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
* ভিটামিন ‘সি’ সেরাম পানি ভিত্তিক, ওজনে হালকা ও সহজে শোষিত হয়। এটা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নিরাপদ। যা অন্যান্য উপকারের পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। সেরাম ব্যবহারের আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হয় আর পরে ময়েসশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
সকাল বা সন্ধ্যা- ভিটামিন সি ব্যবহার উপকারিতা:
সকালে ভিটামিন সি ত্বকে বাড়তি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগাতে সহায়তা করে।
দিনে কমপক্ষে এসপিএফ-১৫ সমৃদ্ধ সানব্লকের সঙ্গে ভিটামিন সি ক্রিম ব্যবহার সূর্যের উন্মুক্ত ‘রেডিকেল’ রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখে।
ঘুমের মধ্যে ত্বক পুর্নগঠিত হয়। তাই রাতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ‘নাইট ক্রিম’ ব্যবহারে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
করণীয় ও বর্জণীয়:
অনেকেই মনে করেন ভিটামিন সি ত্বকে সংবেদনশীলতা বাড়ায়, তাই রাতে ব্যবহারকে নিরাপদ বলে মনে করেন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ উপাদান সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখা উচিত অন্যথায় তা কার্যক্ষমতা হারাতে পারে ও ‘অক্সিডাইজ’ হয়ে যেতে পারে।